X
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত চার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
২৮ মার্চ ২০২০, ০৮:৪৫আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২০, ১৮:০১

বন্দুকযুদ্ধ কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চার জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত তিন জন মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসছিল বলে জানানো হয়েছে।

বিজিবি জানায়, শুক্রবার রাতে টেকনাফ সীমান্তে লেদার ছ্যুরিখাল এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নিহত তিন জন রোহিঙ্গা হতে পারে।

শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে- এমন গোপন সংবাদের খবরে বিজিবির একটি বিশেষ টিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার ছ্যুরিখালে নাফনদীর পাশে গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় একটি নৌকায় চার-পাঁচ জন লোক ওই এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে। তাদের দেখে সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবি চ্যালেঞ্জ করে। এসময় বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে স্বশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বিজবির তিন সদস্য আহত হন।

বিজিবি এই কর্মকর্তা জানান, পরে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা গুলি করতে করতে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে কেওড়া বাগানে দিকে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা থেকে ইয়াবা অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা তিন জনকে উদ্ধার করা হয়। আহতদের টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি গুলির খালি খোসা, একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, শুক্রবার রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মুছা আকবর (৩৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের তুলাতুলী এলাকায়। পুলিশ দাবি করছে, এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খানে আলম বলেন, ‘বিজিবি ও পুলিশ গুলিবিদ্ধ চার ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। তাদের শরীরে গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। আহত বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে চলতি বছরের গত তিন মাসে (২৭ মার্চ পর্যন্ত) বিভিন্ন  আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২৮ জন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ১৭ জন ডাকাত এবং বাকিরা মাদক কারবারি ছিল বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাবি করছে। এর আগে ২০১৮ সালের মে থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান মাদক বিরুধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৫৬ রোহিঙ্গাসহ ২০৯ জন নিহত হয় কক্সবাজার জেলায়। মাদকবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত ২৪৭ নিহত হয়েছে। 

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শান্তিবাড়িতে জামদানি প্রদর্শনী
শান্তিবাড়িতে জামদানি প্রদর্শনী
নির্বাচন হলেই তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন: টুকু
নির্বাচন হলেই তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন: টুকু
জাতীয় সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক: সালাহ উদ্দিন
জাতীয় সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক: সালাহ উদ্দিন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
সর্বাধিক পঠিত
নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
সংযুক্ত কর্মচারী প‌রিষ‌দের জরু‌রি সভানবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
‘দেশের ৩২টি বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে’
‘দেশের ৩২টি বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে’