করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজ না থাকায় আয়হীন হয়ে পড়েছন সিরাজগঞ্জের প্রায় পাঁচ লাখ তাঁত শ্রমিক। সেই সঙ্গে প্রতিকূল অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন বেলকুচি, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, সদর ও কাজিপুরের ছোট-বড় দুই লাখ তাঁত মালিকও। প্রায় এক মাস থেকে তাঁত শিল্প বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন সবাই।
সাবেকমন্ত্রী ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস সোমবার সিরাজগঞ্জসহ রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে এ বিষয়ে অবহিত করেন।
তিনি বলেন. 'তাঁত শিল্প বন্ধ থাকায় সিরাজগঞ্জের প্রায় ৭ লাখ তাঁত শ্রমিক ও মালিক কর্মহীন ও মানবেতর রয়েছেন। সরকার থেকে জেলায় এই গোষ্ঠীকে আলাদা প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। কর্মহীনদের দশ কেজি করে চাল দেয়া হলেও, কদিন পরেই ফুরিয়ে গেছে। বেশ তারা কষ্টে আছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, 'চলমান করোনায় জেলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার পরিবারকে ১৩৯৫ মেট্রিক টন চাল ও ৯০ লাখ টাকা অর্থ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নিকট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাঁতিদের বিষয়ে উপস্থাপন করেছেন। আগামীতে প্রতিক্রিয়া আসতে পারে।'