মাগুরায় জোড়া মাথা নিয়ে এক কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের সদর হাসপাতাল এলাকার জাহান প্রাইভেট হাসপাতালে এই শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির দুটি মাথা থাকলেও বাহ্যিকভাবে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সবই একজনের।
জাহান হাসপাতাল সূত্র জানায়, মাগুরা সদর উপজেলার জগদল গ্রামের দরিদ্র কৃষক পলাশ মোল্যার স্ত্রী সোনালী বেগম এই শিশুটির জন্ম দেন। সোনালী বেগম ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। শিশুটিকে বর্তমানে মাগুরা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্লিনিকটির মালিক ডা. মাসুদুল হক বলেন, জোড়া লাগানো শিশু দুটি সুস্থ আছে। তবে তাদের মা অসুস্থ। জন্মের পর শিশু দুটি মায়ের বুকের দুধ পান করেছে। তিনি বলেন, উন্নত চিকিৎসা ছাড়া এদের বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হতে পারে। উন্নত চিকিৎসার জন্য এদের দ্রুত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য শিশু দুটির অভিভাবককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এ ধরনের শিশু কনজয়েন্ট বেবি বা সিয়ামিজ বেবি হিসেবে পরিচিত। সাধারণত মায়ের গর্ভে দুটি ভ্রুণ একসঙ্গে নিষিক্ত হলে জমজ সন্তানের জন্ম হয়। তবে কোনও কারণে দুটি ভ্রুণের একটি দুর্বল হয়ে সুস্থ ভ্রুণটির সঙ্গে লেগে গেলে বা অন্য কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে গেলে এমন কনজয়েন্ট বা জোড়া লাগা শিশুর জন্ম হতে পারে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এ ধরনের ঘটনা মাঝেমাঝেই ঘটে থাকে। এর সুনির্দিষ্ট কারণ আবিষ্কারে এখনও গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এ ধরনের শিশুর অনেক বছর বেঁচে থাকার ঘটনাও অনেক আছে। এমনকি বিয়ে করে সংসার জীবন পালন করতেও দেখা গেছে কয়েকজন সিয়ামিজকে।