X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

আ. লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১২:০৭আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১২:০৭

আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম মিয়ার প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কান্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী আছুর ১৫ সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে নগরীর বাকলিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

নির্বাচনি কার্যালয়ে ভাঙচুর

বাকলিয়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই জয়শ্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মুরাদ নামে এক ব্যক্তি রাতে থানায় মামলা করেন। এরপর বাকলিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেন। তারা সবাই ওই মামলার এজহার নামীয় আসামি। তাদের সোমবার (২৫ জানুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় ইয়াছিন চৌধুরী আছুর সমর্থকরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন নুরুল আলম মিয়া। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার সন্ধ্যার দিকে আমার স্ত্রীর ১৫/২০ জন নারীকে নিয়ে প্রচারের জন্য আমার প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে অবস্থান করছিল। সেখানে আমিও ছিলাম। আছু ১০/১৫ জন নারী এবং ২০/২৫ জন পুরুষ নিয়ে ওই দিক দিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগে তারা আমার নির্বাচনি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। এসময় আমার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করেন। তাদের হামলায় আমার স্ত্রী, ভাবিসহ ৫ নারী আহত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনায় বাকলিয়া থানায় মামলা করেছি।’ 

নির্বাচনি কার্যালয়ে ভাঙচুর
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আছু বলেন, ‘যেখানে পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসন তাদের পক্ষে কাজ করছে। সেখানে আমরা তাদের ওপর হামলা করলে নির্বাচন করতে পারবো? আমরা তাদের ওপর হামলা করিনি। আমাদের নামে মামলা দিতে তারা পরিকল্পিতভাবে নিজেরা ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দায় চাপিয়েছে। নির্বাচনের আগে আমাদের নেতাকর্মীদের জেল হাজতে পাঠাতে তারা এই কাজটি করেছে।’

এ সর্ম্পকে বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

পরে ডিউটি অফিসার এসআই জয়শ্রী বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনি ভাঙচুরের ঘটনায় রাতে মোহাম্মদ মুরাদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ৩২ জনকে এজহার নামীয় আসামি করা হয়। এর বাইরে আরও ১৫ থেকে ২০জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ১৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া
সুমনের অ্যানিমেশন গানচিত্র ‘বোকা মানুষ’
সুমনের অ্যানিমেশন গানচিত্র ‘বোকা মানুষ’
চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেফতার
জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ তিন জনের পক্ষে শুনানি ৭ জুলাই
জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ তিন জনের পক্ষে শুনানি ৭ জুলাই
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি