দ্বিগুণ পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করায় একটি লঞ্চ ফেরত পাঠানো হয়েছে। লঞ্চটিতে ৭৫ জনের পাস পারমিট নেওয়া হলেও ছিলেন ১৪০ জন। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লঞ্চটি আটকে দেয় বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের ডিএফও (বিভাগীয় বনকর্মকর্তা) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, এমভি অভিযান-৫ লঞ্চ ১৪০ জন পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে পড়ে। এ সময় বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের সামনে থেকে তাদেরকে আটকানো হয়। সুন্দরবন ভ্রমণ নীতিমালা অনুযায়ী ৭৫ জনের বেশি পর্যটক বহনের অনুমতি নেই। এক্ষেত্রে অভিযান-৫ লঞ্চটি সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে।
শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের এসিএফ (সহকারী বনসংরক্ষক) শামসুল আরেফিন বলেন, সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে পর্যটকদের প্রবেশের জন্য জনপ্রতি ১৫০ টাকা ধার্য করা আছে। আর অভয়ারণ্যের বাইরে ৭০ টাকা। সুন্দরবন ভ্রমণে আসা লঞ্চটি অতিরিক্ত পর্যটক বহন করে রাজস্ব ফাঁকি দিতে চেয়েছিল। পর্যটকদের ট্যুরস গাইডও ছিল না।
তিনি জানান, পরে লঞ্চটিতে থাকা পর্যটকদের অনুমোদিত ৭৫ জনকে সুন্দরবন দেখতে বলা হলেও তারা রাজি হননি। তাই অতিরিক্ত পর্যটকসহ লঞ্চটি সুন্দরবন ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য অন্তত এক সপ্তাহে আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে বনবিভাগ থেকে যাত্রার অনুমতি নিতে হয়।