X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
২১ জুন ২০২২, ১০:৩৯আপডেট : ২১ জুন ২০২২, ১০:৩৯

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে প্রতিদিনেই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ১০ হাজার পরিবারের ৪০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা জমির পাট, বাদাম, তিল ও কাউনসহ বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত। তবে কী পরিমাণ জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার কোনও তথ্য নেই জেলার কৃষি বিভাগে। এ ছাড়া পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

বাড়িঘরে পানি ওঠায় অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে। এরই মধ্যে সদরে দুটি ও সাঘাটা উপজেলার একটি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে চার শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে, দুর্গত এলাকার মানুষরা তাদের গবাদিপশু নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।

২০টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত অপারেটর খায়নুর নাহার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার এবং যমুনার পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ও করতোয়ার পানি এখনও নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে হওয়ায় শহররক্ষা বাঁধের কয়েকটি জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার বাগুড়িয়া থেকে কামারজানি পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু জায়গা। এরই মধ্যে পানির চাপে সাঘাটা উপজেলার দক্ষিণ উল্যা গ্রামে শ্মশানঘাট সড়কের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গেছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ছাড়া পানি বৃদ্ধির সঙ্গে চার উপজেলার নদীর তীরবর্তী অন্তত ২০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে কয়েক শ’ বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফয়েজ উদ্দিন। তিনি জানান, চার উপজেলার বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তালিকা করে এসব চাল বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আট হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট মজুতের পাশাপাশি ৪০০ শতাধিক তাঁবু, স্থায়ী ১০টিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র, মেডিক্যাল টিম এবং বেশ কিছু নৌকা প্রস্তুত রাখার কথাও জানান তিনি।

 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
তলিয়ে গেছে দুবাই বিমানবন্দর, বিপাকে প্রবাসীরা
৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টি দেখলো আমিরাত, মরু শহর দুবাইয়ে বন্যা
কাজাখস্তানে ভয়াবহ বন্যা, প্রায় এক লাখ মানুষ স্থানান্তর
সর্বশেষ খবর
চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
উপজেলা নির্বাচনচেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন অপহরণের শিকার সেই প্রার্থী
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন অপহরণের শিকার সেই প্রার্থী
‘হোম অব ক্রিকেটে’ বাংলাদেশের স্পিন কোচ মুশতাক
‘হোম অব ক্রিকেটে’ বাংলাদেশের স্পিন কোচ মুশতাক
গরমে রাস্তায় পানি ছিটানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
গরমে রাস্তায় পানি ছিটানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
সর্বাধিক পঠিত
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ