নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সোনাপুর-চর জব্বর সড়ক অবরোধ করেন।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তুচ্ছ ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে বেশি শাস্তি দিয়েছেন। এ কারণে তাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার পথে। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। শাস্তির আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলে দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এরপর শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের তিন শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সতর্ক করা হয়।
আজ বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বহিষ্কারসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে নোটিশ জারি করার পর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও তাদের সহপাঠীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বহিষ্কারের প্রতিবাদে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ সব ফটটে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। ৫টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনের সোনাপুর-সুবর্ণচর উপজেলা সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলের দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে।’