বালুখেকোদের হাত থেকে নদী ও বসতি রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়রাও সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তা ট্রাকটরে করে নিয়ে যাওয়ার সময় চারটি বালুভর্তি ট্রাকটর আটক করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার (৬ মার্চ) সকালে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের নছর উদ্দিন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের জোরগাছ মাঝিপাড়া এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। শনিবার স্থানীয় প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালালেও চক্রটি বালু তোলা চালু রাখে। এ অবস্থায় সোমবার সকালে স্থানীয়রা জোট বেঁধে নছর উদ্দিন মোড়ে বালুভর্তি চারটি ট্রলি আটক করেন। পরে খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাকটরভর্তি বালু স্থানীয় মসজিদ মাঠে নামিয়ে দেন। স্থানীয়দের তোপের মুখে পরবর্তী সময়ে বালু উত্তোলন করা হবে না বলে আশ্বাস দিলে ট্রাকটরগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মো. রয়েল শেখ বলেন, ‘বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়রা যদি সহযোগিতা করেন তাহলে অবৈধ বালু উত্তলন বন্ধ করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বালুভর্তি চারটি ট্রলি আটকের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা ট্রলিগুলো ছেড়ে দেন।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু বলেন, ‘স্থানীয়দের দাবির মুখে আপাতত বালুর পয়েন্ট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
চিলমারীতে বৈধ বালুমহালের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমরা সব সময় বালুমহাল ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি। এতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তরান্বিত হওয়াসহ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে। গত শনিবারও আমরা ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’