শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজা (৪৫)। তার বাবা শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, পূবালী ব্যাংকের ঢাকার মোগলটুলি শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন রাজা। সাপ্তাহিক ছুটিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে তিনি খুলনায় আসেন। গত তিন মাস তিনি এভাবেই আসতেন। সন্তানকে দেখতে। বদলি হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। রবিবার সকালে ঢাকা ফিরছিলেন তিনি।
রাজার বাবা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সকাল ৫টায় রাজা বাসা থেকে বের হয়। ৬টায় তার গাড়ি ছাড়ে। এরপর ১০টার দিকে ঢাকার ব্যাংক থেকে ফোন করে জানায়, রাজার খোঁজ নিতে৷ সে ব্যাংকে পৌঁছেনি। তখন রাজার নম্বরে কল দিলে একজন ধরে জানায় তার বাস দুর্ঘটনায় পড়েছে। এরপর খোঁজ নিয়ে তার মৃত্যুর খবর পাই। তাকে আনতে গেছে বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রানা। লাশ রাতে পৌঁছানোর পর এশার নামাজ শেষে বসুপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজার একটি ছেলে আছে। নাম আব্দুল্লাহ আল মুবিন রাফি। রাজা ২২ বছর ঢাকাতেই ছিল। খুলনায় বদলি হওয়ার চেষ্টায় ছিল। তাই সে এ বছর তার ছেলেকে খুলনা এনে পল রেভারেন্ট স্কুলে ভর্তি করে।’
শেখ মোহাম্মদ আলী কৃষি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন বলে জানান।
রাজার মা নুরুন্নাহার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলতে থাকেন, ‘রাজা আর বৃহস্পতিবার রাতে এসে বলবে না, “মা ভাত দেন।”
তিনি আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘রাজা নতুন বাড়ি করে সেখানে নিয়ে যাবে বলছিল! কিন্তু এটা কী হলো ‘