বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চরমোনাই পীরের অনুসারীরা জড়ো হলেও কোনও বিক্ষোভ করতে পারেননি। পুলিশ কমিশনার ও ফয়জুল করীমের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফয়জুল করীমের ওপর হামলার পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জড়ো হন তার অনুসারীরা। বিষয়টি জানার পর হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীমকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। আর কোনও ঝামেলা না হয় সেদিকে তাকেও দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর সেখান থেকে তার অনুসারীরা সরে যান।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে। তাদের চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করা হবে। তারা যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। এ বিষয়টি আমি বরদাশত করবো না। আমি মনে করি, একজন প্রার্থীর গায়ে হাত তোলা বড় ধরনের অপরাধ।’
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার রক্ত ঝরার বিষয়টি দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মেনে নিতে পারেনি। তারা হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এক জায়গায় জড়ো হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশ কমিশনারের কথায় আস্থা রেখে তাদের কোনও ঝামেলা না করার জন্য বলা হয়েছে। আমি চাই যে ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু বিচার।’
জানা গেছে, হাতপাখার মেয়র প্রার্থী দুপুরে নগরীর চৌমাথা এলাকার ছাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এ সময় ভোটারদের কাছে নৌকায় ভোট চাইছিলেন নৌকার কর্মীরা। হাতপাখার কর্মীরা তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে কে বা কারা ইট নিক্ষেপ করে। এতে ফয়জুল করীমের ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়।