নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিন জন দগ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাতে বাশমুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- মোহাম্মদ আলম (৩৫), মো. রমজান আলী (২২) ও মো. সিফাত (১২)। তাদের বাড়ি কুমিল্লায়। তারা রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। ওই এলাকায় ব্যাচেলর হিসেবে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
প্রতিবেশি ও সহকর্মী সুমন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি জানান, রাতে রান্না করার সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে তারা তিন জন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে বের হয়ে দগ্ধ অবস্থায় তাদের দেখতে পান। ঘরের ওপরের টিন ছিটকে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। তাদের ধারণা, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে ছিল। এরপর সিগারেটের লাইটার বা এরুপ কিছু জ্বালাতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফতুল্লা এলাকা থেকে তিন জন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এসেছে। এদের মধ্যে আলমের ৭২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া রমজানের ৫৮ শতাংশ এবং সিফাতের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘তিন জন দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। মূলত বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো মুহূর্তের মধ্যে ঘটে, মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। ফলে বিস্ফোরণের পরে সবাই ক্ষতিগ্রস্তদের হাসপাতালে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে এরুপ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয় না।’