‘সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে’ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদিদ আহমেদ সৌরভসহ জেলা ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্যাডে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর নেই। তাতে স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনটির দফতর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ। গত ২০ আগস্ট কুড়িগ্রামে ঘটে যাওয়া ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার’ পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক বহিষ্কৃত অপর কর্মীরা হলেন– জেলা ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান, হাসানুদ্দৌলা প্রান্ত, ইবনে হিমেল এবং মেহেদী হাসান রাব্বু। এ ছাড়াও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী আব্দুল্লাহ আল মহান, মাহতাব হোসেন রুদ্রকে একই ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, গত ২০ আগস্ট কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় সেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক পদধারী নেতার বাবাও ছিলেন। মূলত ওই ছাত্রলীগ নেতার বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ছাত্রলীগ নেতার সুপারিশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এই সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সাময়িক বহিষ্কৃত কর্মীদের স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না তা সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। এরপর সংগঠন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তারা কেউ পদধারী নন। এজন্য আমরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। পরে কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’