বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারে থেমে থেমে ভারী গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের বাজার পাড়ায় তুমব্রু সীমান্তে ভারী গুলির শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বসবাস করা ২০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
এসব তথ্য স্বীকার করে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর তুমব্রু সীমান্তে আবারও মিয়ানমারের ভারী গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে সীমান্তের এপারে বসবাসকারীরা ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছেন। গুলি ছোড়ার পর জনসাধারণের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আমার এলাকার সীমান্তের খুব কাছাকাছি বসবাস করা ২০ পরিবারকে সরিয়ে এনে নিরাপদে রাখা হয়েছে।’
সীমান্তে বসবাসকারী মানুষদের ভাষ্য, সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে ভারী গুলির বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা। তুমব্রু সীমান্তের ঘুমধুমের বাজারপাড়ায়, বাইশ ফাঁড়িসহ তুমব্রু রাইট এলাকায় মিয়ানমারের ভারী গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘তুমব্রু সীমান্তে রাখাইনে গোলাগুলির খবর স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে জেনেছি। এ বিষয়ে আমাদের সীমান্তবাহিনী কাজ করছে। তবে সীমান্তে বসবাসকারীদের আতঙ্কিত না হতে বলা হচ্ছে।’
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে দুটি মর্টারশেল ও গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ে। তখন ঢাকার মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো‘কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় এবং এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দা শহিদুল মিয়া বলেন, ‘বিকাল থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আবারও ভারী গুলিবর্ষণ হচ্ছে। গুলির শব্দ অনেক বেশি। মর্টারশেলের আওয়াজের মতো মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় সীমান্তের বসবাসকারীরা ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছে।’
এদিকে, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগে করে এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।