চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমএ শুক্কুরসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার অন্য দুজন হলো– বিএনপি নেতা আলী আকবর (৩৮) এবং চান্দগাঁও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোরশেদ (৩৪)।
র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, ‘গত ২৯ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছডি মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কতিপয় দুষ্কৃতকারী সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে লাঠিসোঁটা, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে। সে সময় ভিকটিম জিসান চৌধুরী বাড়ি ফেরার সময় হাটহাজারী পৌর এলাকার মুন্সি মসজিদের সামনে পৌঁছালে হাটহাজারী পৌরসভার কাউন্সিলর মো. আব্দুস শুক্কুরসহ অন্য নাশকতাকারীরা ভিকটিমের পথরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জিসান চৌধুরী বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি এমএ শুক্কুরকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন দক্ষিণ পতেঙ্গা চরবস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
পৃথক অভিযানে নগরীর চকবাজার থানাধীন দামপাড়া এলাকা থেকে আলী আকবরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি গ্রেফতার এড়াতে আট বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন।
অপরদিকে, নগরীর চাদগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চান্দগাঁও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোরশেদকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, এমএ শুক্কুরের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় নাশকতা, অস্ত্র, ডাকাতি এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ১০টি এবং মো. মোরশেদের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় নাশকতা সংক্রান্ত একটি মামলার রয়েছে।
