X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

আঞ্চলিক পরিষদ ভবন নির্মাণকাজে স্থানীয়দের বাধা

রাঙামাটি প্রতিনিধি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫১আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৩

রাঙামাটি শহরের প্রবেশমুখ রূপনগর এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ভূমি দখল ও দখল স্বত্বে টিলাভূমি কিনে বসবাস করছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। ওই এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য সরকার ভূমি দিলেও স্থানীয়দের বাধার মুখে নির্মাণকাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাঙামাটি চট্টগ্রাম মূল সড়কের পাশে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। সকালে রূপনগর এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের স্থায়ী ভবন নির্মাণের লে আউটের কাজ হওয়ার কথা ছিল। তবে স্থানীয়দের আন্দোলনের কারণে ভিত্তিপ্রস্তর করা যায়নি।

রূপনগর এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে, এমন খবরে বাসিন্দারা সড়কের পাশে অবস্থান নেন। স্থানীয়দের দাবি, অন্যত্র পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দখল ভূমি ছাড়বেন না। পরে প্রশাসন অবস্থানকারীদের সঙ্গে আলোচনার করে নির্ধারিত জায়গাটি পরিদর্শন করে। আর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছেন সংশ্লিষ্টরা।

সেখানে বসবাসকারীদের দাবি, ১৫-২০ বছর যাবৎ এই স্থানে বসবাস করে আসছেন তারা। সরকারিভাবে ভূমি বন্দোবস্ত বন্ধ থাকায় জায়গার মালিকানা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। বাসিন্দাদের বৈধ কোনও কাগজ নেই। আঞ্চলিক পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের আগে তাদের অন্য কোনও স্থানে পুনর্বাসন করা না হলে তারা এই জায়গা ছাড়বেন না।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিঠু মিয়া বলেন, ‘এই স্থানটি দখল স্বত্বে আমরা বিভিন্ন মানুষের কাজ থেকে কিনে দীর্ঘদিন বসবাস করছি। আয় কম এমন ধরনের মানুষের বসবাস এই স্থানে। ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে আমাদের এই স্থান থেকে উঠে চলে যেতে হবে। তাই আমরা চাই, আমাদের মাথাগোজার ঠাঁই করে দিলে আমরা চলে আসবো। আমরাও এখানে বসবাস করতে চাই না।’

আরেক আন্দোলনকারী স্থানীয় বাসিন্দা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে সরকার খাওয়াচ্ছে। আমরা এই দেশের নগরিক। সরকারকে ভোট দিই। তাহলে সরকার কেন আমাদের বসতবাড়ি ছাড়া করবে। আমাদের অন্য কোনও স্থানে জায়গা বা থাকার ব্যবস্থা না করে দেওয়া পর্যন্ত এই জায়গা আমরা ছাড়বো না।’

রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘আঞ্চলিক পরিষদকে সরকার ভূমি দিয়েছে। তারা তাদের নির্ধারিত স্থানে কাজ করবে। কেউ বাধা দিতে চাইলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’ সরকারি আদেশ পালনে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানালেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সুর্বনা চাকমা বলেন, ‘আমরা এই স্থানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ভবনে লে আউট দিতে এসে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ি। পরে তাদের দাবিগুলো শুনি। আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে স্থানটি পরিদর্শন করেছি। আলোচনায় মাধ্যমে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছি আমরা। তাদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবো।’

২০১৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ১৪.৭৫ একর জায়গা দেয় সরকার। বর্তমানে এখানে ১৮০ পরিবার বসবাস করছে দাবি আন্দোলনকারীদের। 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলার ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
পাঁচ জেলায় চলছে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ
সর্বশেষ খবর
সিরি আ’য় এবারই প্রথম এক ম্যাচে সব নারী রেফারি
সিরি আ’য় এবারই প্রথম এক ম্যাচে সব নারী রেফারি
ফেরিঘাটে টেম্পুর ধাক্কায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত
ফেরিঘাটে টেম্পুর ধাক্কায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত
পাকিস্তানে উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার, পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ পিটিআইয়ের
পাকিস্তানে উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার, পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ পিটিআইয়ের
দুই দফা অভিযানেও খোঁজ মেলেনি শিশুটির
দুই দফা অভিযানেও খোঁজ মেলেনি শিশুটির
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ