উজানের ঢল ও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে গাইবান্ধা জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে ২৪টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে জেলার চার উপজেলার ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।
শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘পানি বাড়ার কারণে জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর চারপাশে পানি ঢুকে পড়েছে। এ ছাড়া কোনও কোনও বিদ্যালয়ের মাঠেও পানি ঢুকেছে। বন্যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার থেকে ৭০টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি বাড়লে আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে। বন্যার পানি কমলে বন্ধ ঘোষণা করা বিদ্যালয়গুলোতে আবারও পাঠদান শুরু হবে।’
এদিকে, পানি বেড়ে জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বসতবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এরই মধ্যে দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী-অস্থায়ী ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্গত মানুষের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ টাকা, শুকনা খাবার ও জিআর চাল বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।