রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত বখাটেদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে সাত জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রংপুর-ঢাকা ও কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্কের মোড় এলাকায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী তার সহপাঠীসহ চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। সে সময় ওই এলাকার এক বখাটে এসে নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। ছেলে শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে দুজনের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর কিছুক্ষণ পর পার্কের মোড় এলাকার ওই বখাটে যুবক তার কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই ছেলে শিক্ষার্থীকে মারধর করে আহত করে।
এদিকে শিক্ষার্থীকে হামলা চালিয়ে মারধর করে আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং আশেপাশের মেসগুলো থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা পার্কের মোড়ে আসলে বহিরাগতদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৭ শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে রংপুর-ঢাকা, রংপুর-কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে প্রক্টর ফেরদৌস রহমান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। পুলিশও চলে আসে ঘটনাস্থলে। এ সময় শিক্ষার্থীরা হামলাকারী বহিরাগত বখাটেকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন। এই দাবিতে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে।
রাত সোয়া ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী ঘটনাস্থলে এস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হামলাকারী এক যুবককে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে আসা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে তার পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে তাজহাট থানার ওসি শাহ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
প্রক্টর ফেরদৌস রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সরে এসেছে।