সপ্তমবারের মতো ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘৫ আগস্টের বিপ্লব আমাদের অনেক সুযোগ এনে দিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে এক নম্বর হচ্ছে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি, এ বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা এই অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ পেয়েছি। এখন প্রতিষ্ঠার কাজটি করতে হবে আমাদের। এই কাজটা করতে প্রথম ধাপ হচ্ছে সুষ্ঠু ভোটার তালিকা।’
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সাভার উপজেলা অডিটোরিয়াম কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের ভোটের ট্রেনের যাত্রা করলো, এ যাত্রার মধ্যে প্রথম কাজটা হলো ভোটারদের সঙ্গে নিতে হবে। সঠিক ভোটার তালিকা না করতে পারলে আমাদের সঠিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হবে। আমরা অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে পুরো দেশবাসীকে পাশে চাই। আমরা পুরো দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। যেদিন মানুষ ভোট দিতে পারবে, যেদিন বিনা দ্বিধায় ভয়ভীতিহীনভাবে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, সেদিন আমরা মনে করি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে।’
ভোটাধিকার রক্ষায় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ভোটের দিন যাতে কেউ আপনার অধিকার হরণ করতে না পারে, কেন্দ্র দখল করতে না পারে, বাক্স কেড়ে নিতে না পারে– এমন জনপ্রতিনিধি গড়ে তুলতে হবে আমাদের। আমরা আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য এক হতে পারি না? আমরা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবো, আমরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল হতে দেবো না।’
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইসি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনটা হলো জাতীয় দায়িত্ব, যারা সরকারি চাকরি করেন এটা তারা সবাই জানেন। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন এবং পুরো প্রক্রিয়াতে পদে পদে সহযোগিতা করুন। নারী ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করুন, তারা যাতে ভোটের মূল্যটা বোঝেন এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে তাদের সঙ্গে নিন।’
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।