চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী সদরে চট্টগ্রামমুখী বাসের চাপায় দুই ভাইবোনসহ তিন জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কের দুই পাশে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা বেলা ১১টার দিকে সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রামমুখী পূরবী পরিবহনের বাসটি একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে রিকশাচালক রুহুল আমিন নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে দুই ভাইবোন মারা যায়।
নিহত দুই ভাইবোন দোহাজারী জামিজুরি এলাকার জসিম উদ্দিনের সন্তান। সকালে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা দোহাজারী পাঠশালা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। তারা হলো– ওয়াকার উদ্দিন আদিল (১২) ও তার বড় বোন সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা রিজভী (১৫)। নিহত রিকশাচালক ওই এলাকার আমানত উল্লার ছেলে রুহুল আমিন (৪৫)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজী ফাহমিদা ওয়াশিমা তুশিন (১৫)।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি সুবরঞ্জন চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পূরবী পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় দুই ভাইবোন এবং ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। তারা সকালে কোচিংয়ে পড়তে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন কিছুক্ষণ সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের এএসআই মো. আলাউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চন্দনাইশে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে আনা হয়। তাদের মধ্যে উম্মে হাবিবা রিজভী ও ওয়াকার উদ্দিন আদিল নামে দুজনকে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত কাজী ফাহমিদা ওয়াশিমা তুশিনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’