ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজল তালুকদারকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে চুরি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ভাঙ্গা কোটপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার সজল তালুকদার ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদী ইউনিয়নের খাঁকান্দা নাজিরপুর গ্রামের রাজ্জাক তালুকদারের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভাঙ্গা উপজেলার পুখুরিয়া বাজার দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর পক্ষে সুলতান মাতুব্বর, সজল তালুকদার, মজিবার আক্কাস মাতুব্বর এবং মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের পক্ষ হারুন মোল্লা, ইয়াকুব মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় সুলতান ও সজলের লোকজন অপর হারুন মোল্লা দলের ১০টি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট এবং ১০টি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও যৌথবাহিনীর চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনার দুই দিন পর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজল তালুকদার, সুলতান মাতুব্বর, মজিবর তালুকদার, আলহাজ তালুকদার, আক্কাস মাতুব্বর, হেমায়েত তালুকদার, মুক্তার তালুকদারসহ ৯০ জনকে আসামি করে হারুন মোল্লা বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সজল তালুকদারকে গ্রেফতার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে হারুন মোল্লা বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সজল তালুকদার ২ নম্বর আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’