নদীভাঙন ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘নদীভাঙনের কারণ নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও অবৈধ বালু উত্তোলন। বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার চালানোর ফলে পদ্মা নদীর আশেপাশের এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ডকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ ড্রেজার জব্দ করার পাশাপাশি মালিকদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
বুধবার বেলা ১২টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন একথা বলেন তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে, ভাঙনকবলিত জায়গায় জিওব্যাগ ডাম্পিং করে প্রাথমিকভাবে ভাঙন ঠেকানোর পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সেতু বিভাগের সমীক্ষার পর ফলাফল ও নকশা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা জানিয়েছেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, তারা দ্রুত টেকসই স্থায়ী বেড়িবাঁধের নির্মাণের চান। এ ছাড়া ভাঙনকবলিত মানুষদের সরকারিভাবে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ তারেক হাসান বলেন, ‘ভাঙন রোধে জরুরি জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ করতে পারবো।’
পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডসহ আশেপাশের এলাকা রক্ষায় ২০১০-১১ অর্থবছরে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটি নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।