মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় আইন লঙ্ঘন করে গোপনে মজুত করে রাখা ৯০০টি এলপিজি গ্যাস উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। পরে ওই ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার তেউটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়দৌড় বাজারে আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ দেন লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-ইমরান। এর আগে সকালে অভিযান পরিচালনা করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যরা।
দণ্ডপ্রাপ্ত মেসার্স শেখ এন্টারপ্রাইজের মালিক রুহুল আমিন দিপু (৫৪) ওই এলাকার জব্বার শেখের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, আইন অনুযায়ী একজন দোকানি সর্বোচ্চ ৫০০ কেজি বা ৪০টি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রাখতে পারবেন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী ১০ হাজার ৮০০ কেজি অর্থাৎ ৯০০টি সিলিন্ডার তার দোকানের পেছনে মানুষের বসবাসস্থল লোকালয়ের মধ্যে নিয়ে টিনের বেড়া দিয়ে কৌশলে মজুত করে রাখেন। সেখানে কোনও ধরনের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। তার চেয়েও ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে যেখানে সেগুলো মজুত করে রাখা ছিল তার পাশে একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকান ছিল। কোনোভাবে যদি দুর্ঘটনা ঘটতো তাহলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতো।
তিনি আরও জানান, ভোক্তা অধিকার আইনে আদালত পরিচালনা করে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে। এ ছাড়া উদ্ধার করা ৯০০টি গ্যাসভর্তি সিলিন্ডারের মধ্য থেকে ৪০টি তার কাছে রেখে বাকিগুলো কোম্পানির কাছে ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।