ক্লাস ফাঁকি দিয়ে স্কুলড্রেস পরিহিত অবস্থায় বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
ওই তিন শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানিয়েছে, স্কুলড্রেস পরিহিত অবস্থায় তারা বন্ধুদের নিয়ে নৌকায় ঘোরাঘুরি করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্পটে গিয়ে আড্ডারত অবস্থায় তাদের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি অভিভাবকসহ শিক্ষকদের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর ওই ভিডিও প্রধানশিক্ষকের কাছে প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে তাদেরকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার দাবি করা হলে তিনি তাদের ছাড়পত্র দেন।
একাধিক অভিভাবক দাবি করেন, স্কুলের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমরা সমর্থন করি। ওই তিন ছাত্রীর দোষের চেয়ে বড় দোষ হচ্ছে তাদের অভিভাবকদের। তাদের সন্তান কোথায় যায় কী করে তা খেয়াল রাখা উচিত।
শিক্ষক সুদর্শন চৌধুরী জানান, ওই তিন ছাত্রী স্কুলে এলেও তারা ক্লাস ফাঁকি দিতো। এ ছাড়া তাদের লেখাপড়ায় ছিল অনীহা। বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানালেও তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। স্কুলের পরিবেশ ভালো রাখতে টিচার কাউন্সিলের সভা করে ওই তিন ছাত্রীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রধানশিক্ষক এস এম ফখরুজ্জামান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিওতে তাদেরকে ছেলে সঙ্গে স্কুলড্রেস পরিহিত অবস্থায় নৌকায় ঘুরতে দেখা যায়। এরপর ওই ভিডিওসহ শিক্ষক ও অভিভাবকরা অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর শ্রেণি শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, তারা প্রতিনিয়ত ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আসছে। ক্লাসে তারা মারাত্মক অমনোযোগী। লেখাপড়া করে না বললেই চলে। এরপর শিক্ষক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ওই তিন ছাত্রীকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে অভিযোগের বিষয়টি জানিয়ে ছাড়পত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে এর প্রভাব যেন না পড়ে এ জন্য কঠোর হতে হয়েছে। তাছাড়া এ কারণে অন্য ছাত্রীরাও এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে।