সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমানের প্রথম জানাজা বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নিজ জেলা পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে, বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে আনা হয়। পরে সেখান থেকে গাড়িতে করে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নেওয়া হয়। জানাজা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পর তার মরদেহ আবার হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হয়। আজ বিকালে আসর নামাজের পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম (এমপি), বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নাসহ প্রশাসন ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুর ১টায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। খাদ্যনালীতে ক্যানসার ধরা পড়ার পর প্রায় ১০ মাস ধরে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার স্বামী শেখ হাফিজুর রহমান টোকন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে শেখ খালিদ অরিন্দম আর মেয়ে শেখ প্রজ্ঞা জয়ীতা রহমান দুজনই ব্যবসায়ী।
শেখ এ্যানী রহমানের জন্ম পিরোজপুর শহরের শহীদ ফজলুল হক সড়কে। তার বাবা প্রয়াত খান এনায়েত হোসেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের (৭০-এর নির্বাচনে পিরোজপুর-কাউখালী-ভান্ডারিয়া-কাঁঠালিয়া থেকে) সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ৭৩ সালে পিরোজপুর- কাউখালী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৭৫ সালে পিরোজপুর জেলা গভর্নর নির্বাচিত হন। ৬৪ থেকে ৭২ সাল পর্যন্ত পিরোজপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৭৩ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত পিরোজপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। শেখ এ্যানী তার বাবার বড় মেয়ে। লনি সুলতানা নামে তার এক বোন ও খান সাঈদ হাসান বাবু নামে এক ভাই রয়েছেন।