ভোলায় বিয়ে বাড়ির গেটে টাকা দাবিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এতে কনে, কনের বাবা, মাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরতলীর জামিরা লতা মুন্সি সরদার বাড়ির হারুন অর রশিদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (১ জুলাই) ভোলা সদর থানার ওসি মো. শাহীন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দুই মাস আগে শহরতলী জামিরা লতা মুন্সি সরদার বাড়ির হারুন অর রশীদের মেয়ের সঙ্গে একই এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে শরীফের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। বরকে বরণ করার জন্য কনেপক্ষ বাড়ির দরজায় গেট নির্মাণ করে। ওই গেটের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এরই জের ধরে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিয়ের প্যান্ডেল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কনেসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। স্থানীয়রা পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেন।
কনে পক্ষের অভিযোগ, হামলাকারী বরপক্ষের লোকজন ভাংচুরের পাশপশি ঘর ও বিয়ের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। তবে লুটের কথা অস্বীকার করে তাদের উপর আগে হামলা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে বরপক্ষ।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি শাহীন ফকির জানান, শুক্রবার রাতে পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারে। এরপর ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে থাকা আহতদের দেখতে পুলিশের একটি টিম যায়। এ ঘটনায় কনের বাবাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউই থানায় অভিযোগ দেয়নি। উভয়পক্ষ স্থানীয়ভাবে এ ঘটনা সমাধান করে নেবে।