বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাখরকাঠী এলাকায় তিনটি গাড়ির সংঘর্ষে থ্রি-হুইলার চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক শিশুযাত্রীও রয়েছে।
এ ঘটনায় আহত চার যাত্রীর মধ্যে নিহত শিশুর মা আশঙ্কাজনক অবস্থায় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন। তারা সবাই ঈদ করতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন থ্রি-হুইলার চালক সাইদুল ইসলাম (৪০) ও শিশুযাত্রী জায়ান (৪)। সে বাকেরগঞ্জের বাগদিয়া এলাকার মেজবাহ উদ্দিনের ছেলে।
আহত কলেজছাত্র মো. শাহিন জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে লঞ্চ থেকে বরিশাল নৌবন্দরে নেমে তারা রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখান থেকে একটি থ্রি-হুইলার ভাড়া করে বাকেরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। চালক অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করেন। এজন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় মোড় এলাকায় তার গতিরোধ করেন বাসমালিক সমিতির লোকজন। এরপর তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে আবার গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত স্থান অতিক্রমকালে চালক বিপরীত দিক থেকে আসা বড় একটি গাড়ির মাঝ বরাবর গিয়ে আঘাত হানেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর টেম্পোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক ও শিশু নিহত হন এবং থ্রি-হুইলারের চার যাত্রী আহত হন। আমার ধারণা, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।’
নিহত জায়ানের চাচা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জায়ানের বাবা ঢাকায় একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন। তারা তাদের সন্তানসহ বাড়িতে ঈদ করতে আসছিলেন। দুর্ঘটনায় জায়ান নিহত এবং তার মা ও বাবা আহত হয়। মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার জ্ঞান ফেরেনি।’
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘শুনেছি তিনটি গাড়ির সংঘর্ষে থ্রি-হুইলারের চালক ও শিশুযাত্রী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হন আরও চার যাত্রী।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। যাত্রীদের মাধ্যমে জানা গেছে, থ্রি-হুইলারের চালক ঘুমিয়ে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
