ঝালকাঠি এনএস কামিল (নেছারাবাদ) মাদ্রাসার বিশেষায়িত শিক্ষা কার্যক্রম তাহেলি শাখার মুহতামিমের (প্রধান) পদত্যাগ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে তাহেলি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি নেছারাবাদ কেন্দ্রীয় মসজিদে অভ্যন্তরীণ প্রোগ্রাম শেষে তাহেলি শাখার মুহতামিম (প্রধান) মাওলানা আল-আমিন মাদারীপুরী হুজুরের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। অপর আরেকটি অংশ হুজুরের পক্ষে অবস্থান নেয়। এ বিভাজনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্ট বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে তাহেলি শাখার নবম ও দশম শ্রেণির উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হন।
আহতরা হলেন মাহাফুজ, ফজলে রাব্বি, মিরাজ, নাইম, আসিফ রেজা, তরিকুল ইসলাম, মোস্তাক, সাব্বির, মাহাথির, রাকিব ও আব্দুল্লাহ।
এ ব্যাপারে মাওলানা আল-আমিনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। নেছারাবাদ ইসলামী কমপ্লেক্সের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাওলানা মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি চরমোনাই পীর সাহেব হুজুরের বড় ভাইয়ের জানাজাতে আছেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সংযোগ কেটে দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসার ছাত্রদের দুটি গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশের টিম, সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষকরাও সংবাদ পেয়ে চলে আসেন। তারা ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সমাধানের জন্য বৈঠকের কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।