পিরোজপুরের নেছারাবাদে যুবককে হত্যার দায়ে চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোক্তার আলম এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময়ে দুই আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাকি দুজন ছিল পলাতক।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- রফিকুল ইসলাম (৫৫), জসিম আকন (৪৫), আ. জব্বার হিরু (৭০) ও খোকন মোল্লা (৫০)। রায় ঘোষণার সময় আসামি রফিকুল ও জসিম পলাতক ছিল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে হারুন অর রশিদ (৩৫) বরিশাল অ্যাকাউন্স অফিসে এমএলএসএস পদে চাকরি করতেন। তার সঙ্গে কমবেশি টাকা থাকতো, এটা সবাই জানতেন। ঘটনার রাতে হারুন তার এলাকায় আসার পথে নেছারাবাদের সারেংকাঠী ইউনিয়নের বিষ্ণুকাঠী গ্রামের একটি খালের পাশে আসলে আসামিরা তার পথরোধ করে তার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপরে তাকে হত্যা করে খালের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
এ ঘটনায় ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সারেংকাঠী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াহিদ হাসান বাবু জানান, ২০০৬ সালে নেছারাবাদ উপজেলার সারেংকাঠী গ্রামে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়ার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা চার জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে আ. জব্বার হিরু ও খোকন মোল্লা আদালতে উপস্থিত ছিল। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে।