বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর চাঁদমারি এলাকায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রলারে পেট্রলের ড্রাম বিস্ফোরণে চার শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর চাঁদমারিতে যমুনা অয়েল ডিপো সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- ট্রলারের শ্রমিক মান্না, মানিক, রুবেল ও সম্পদ। তারা নোয়াখালীর হাতিয়ার বাসিন্দা। পেট্রলের ড্রাম বিস্ফোরণের সময় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন ট্রলারের দুই মাঝি। ডিপো তেল নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশে রাতে রওয়ানা দেওয়ার কথা ছিল তাদের।
ট্রলারের চালক মো. দুলাল জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর চাঁদমারি এলাকায় যমুনা অয়েল ডিপো থেকে ট্রলারে ড্রামভর্তি জ্বালানি তেল লোড করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে ট্রলারে থাকা একটি তেলের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। শ্রমিক ও মাঝিমাল্লারা নদীতে ঝাঁপ দেয়। এর মধ্যে রুবেল ঝাঁপ দিতে না পারায় বেশি দগ্ধ হন। ডিপো রক্ষার্থে ট্রলারটি মাঝ নদীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ওয়াটার বোটসহ চার ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দগ্ধদের উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সানজিদা ইসলাম কেয়া বলেন, ‘চার জনের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’