দেশের অন্যান্য জায়গার মতো কক্সবাজারেও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা চলছে। পূজা উপলক্ষে সব আয়োজন এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে পূজা উদযাপন কমিটি। সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের এ উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সোমবার থেকে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। ১৯ অক্টোবর দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের। কক্সবাজারে ৩০১ মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। বঙ্গপাহাড়ে এবছর জেলার সর্ববৃহৎ প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
কক্সবাজারের শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার প্রবাল শীল (২৫) নামের এক পূজারি বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসবে আমরা সবচেয়ে বেশি আনন্দ করি। আমার বাড়ি পটিয়া হওয়ায় পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারছি না। এ কারণে আমার জন্য একটু হলেও পূজার আনন্দ কম হবে।’
শহরের বদ্যঘোনা এলাকার বাসিন্দা পিংকী বড়ুয়া বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসবের শান্তির বার্তা দিয়ে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে সবাইকে আনন্দ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রনজিৎ দাস বলেন, ‘পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলায় ৩০১টি মণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ১৯ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হবে।’
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজার জেলায় শারদীয় দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশ, আনসার, গোয়েন্দা পুলিশ দিয়ে প্রতিটি পূজা মণ্ডপ আগলে রাখার পাশাপাশি বিসর্জনের দিন সৈকত এলাকায় অতিরিক্ত সাড়ে ৪ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, ‘সবাই যাতে দুর্গোৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রতিমা বিসর্জনের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রতিমাবাহী গাড়িগুলোয় বিশেষ নজরধারি রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’