X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

পানির জন্য হাহাকার

আবুল হাসান, মোংলা
২৮ এপ্রিল ২০২১, ১৭:২৪আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১৭:২৪

লবণ অধ্যুষিত মোংলা বন্দরসহ আশপাশের এলাকায় বর্তমানে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের খুব কাছে পশুর ও মোংলা নদীর সংযোগস্থলে মোংলা পোর্ট পৌরসভা অবস্থিত। ৬৪ হাজার পুরবাসী চারদিকে থৈ থৈ পানির মধ্যে বাস করলেও কোথাও পর্যন্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি নেই। অধিকাংশ লবণমিশ্রিত দূষিত পানি।

পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে যে পানি দেয়া হচ্ছে তাতে চাহিদা মিটছে না পুরবাসীর। কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরবাসীর চাহিদা মেটাতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। পানির সরবরাহ প্রকল্পের তৃতীয় ফেইসের অনুমোদন ও দ্রুত বাস্তবায়ন হলে এ সংকট নিরসন হবে।

১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মোংলা পোর্ট পৌরসভা মাত্র কয়েক বছর আগে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। উপকূল লাগোয়া এ পৌরসভার দুই পাশ লোনা পানির আধার মোংলা ও পশুর নদীতে ঘেরা। এরপরও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে এখানকার সুপেয় পানির উৎস নষ্ট হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। তাই এখানকার বাসিন্দাদের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে গেল কয়েক বছর পূর্বে পৌরসভার মাছমারা এলাকায় নির্মিত হয়েছে পানি সরবরাহ প্রকল্প।

পানির জন্য হাহাকার

প্রথমে একটি পুকুর দিয়ে প্রকল্পের কাজ চললেও পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় আরও একটি পুকুর খনন করা হয়েছে। তাতেও মিটছে না পুরবাসীর পানির চাহিদা। পৌরসভার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হোল্ডিং মালিকদের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার পরিবার এখন পাচ্ছেন সুপেয় পানি। বর্তমানে পুরবাসীর মাঝে প্রতিদিন ১৯ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বিপরীতে চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪০ লাখ লিটারের। চাহিদায় ঘাটতি থাকায় এখান জনগণের যেন অভিযোগের অন্ত নেই।

পৌরসভার জয়বাংলা, মিয়াপাড়া, কলেজমোড়, সিগনাল টাওয়ার, কবরস্থান রোডসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দা জানান, মোংলা পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এক কলস পানির জন্য ২/৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। সকালে ও বিকেলে সামান্য সময়ের জন্য পানি সরবরাহ চালু হলেও এর কয়েক ঘণ্টা আগে ভুক্তভোগীদের সিরিয়াল দিতে হয়। এক কলস পানির জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় তাদের।

বিশুদ্ধ পানির সংকট থাকায় জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে স্বীকার করে পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান বলেন, চাহিদা মেটাতে পানির প্রকল্পের আওতায় নতুন করে তৃতীয় ফেইসের কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ কোটি টাকার নতুন এই ফেইসের অনুমোদন হলে পানির চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে। এ প্রকল্পের দ্রুত অনুমোদনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।

পানির জন্য হাহাকার

এদিকে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষই তাদের সংশ্লিষ্টদের জন্য খুলনা থেকে বার্জের (নৌযান) মাধ্যমে ও পরবর্তী সময়ে ফয়লা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে শহরে খাবার পানি সরবরাহ করে আসছে। এ পাইপলাইনের পানি নতুন ও পুরাতন বন্দরে বসবাসকারীদের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করা হতো। এরপর পুরাতন মোংলায় বসবাসকারী জনসাধারণের পানির প্রয়োজন মেটাতে শহরতলীর কুমারখালি এলাকায় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে একটি পানি শোধনাগার ও সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প থেকে প্রথম দফায় পৌরসভার ২৫ কিলোমিটার এলাকায় সরবরাহ লাইন স্থাপন করে দুই হাজার পরিবারের মধ্যে পানি সরবরাহ করার কথা। কিন্তু সে প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ আছে বাসিন্দাদের।

 

/এনএইচ/
সম্পর্কিত
শ্রমজীবী মানুষের মাঝে স্যালাইন ও পানি বিতরণ মহানগর আ. লীগ নেতার
৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দেবে ডিএনসিসি
গরমে পানির সংকট রাজধানীতে, যা বলছে ওয়াসা
সর্বশেষ খবর
মিসরে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা, গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল
মিসরে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা, গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল
কিশোরগঞ্জে ২৮ লাখ পিস ডিম উদ্ধার
কিশোরগঞ্জে ২৮ লাখ পিস ডিম উদ্ধার
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করলে হামাস ক্ষমতায় থেকে যাবে: নেতানিয়াহু
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করলে হামাস ক্ষমতায় থেকে যাবে: নেতানিয়াহু
ব্যাংক চলাকালীন এনবিআরকে অভিযান চালাতে হবে: হাইকোর্ট
ব্যাংক চলাকালীন এনবিআরকে অভিযান চালাতে হবে: হাইকোর্ট
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?