X
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
১৮ আষাঢ় ১৪৩২

ঈদের দিনেও ঠায় দাঁড়িয়ে ডিউটিতে যারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
১৪ মে ২০২১, ২২:২৬আপডেট : ১৪ মে ২০২১, ২২:৩৬

ঈদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের চিরচেনা ব্যস্ততম সড়কগুলো এখন অনেকটাই ফাঁকা। সড়কে নেই প্রতিদিনকার মতো যানবাহনের চাপ। মানুষের কোলাহল নেই। দু-একটি ছোটখাট যানবাহন ছাড়া পুরো শহরই ফাঁকা। তবে ফাঁকা শহরে যানবাহনের চাপ না থাকলেও চিরচেনা ট্রাফিক পুলিশকে ঠিকই দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। দায়িত্ব বলে কথা। যে কয়টা রিক্শা কিংবা ইজিবাইক চলাচল করছিল তাদের সঠিক নিয়মে চলাচলের দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ।

ঈদের দিনেও সড়কে ডিউটিতে আছেন একজন ট্রাফিক।

শহরের ল্যাড এইড মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য শংকর মজুমদার। দায়িত্ব পালনের ফাঁকে কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, সড়ক ফাঁকা তাই অনেকটা স্বস্তি। দুইদিন আগেও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। কারণ গ্রামের মানুষ কেনাকাটা করার জন্যে বেশি বেশি শহরে আসায় যানবাহনের চাপ বেড়েছিল। তাই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সবাইকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়া প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। আজ ঈদের দিন বৃষ্টির কারণে প্রকৃতিতে অনেকটা সতেজতা সৃষ্টি হয়েছে। রোদের তাপ নেই। শহরে কোথাও যানজট নেই। মানুষ স্বাচ্ছ্যন্দে ঘোরাফেরা করছে। যানজট না থাকায় আগামী দু-দিন দায়িত্ব পালনে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে। সরকারি ছুটি শেষ হলে আবারো পুরোনো চিত্র ফুটে উঠবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক কনস্টেবল শংকর মজুমদার।

তিনি বলেন, উৎসব পার্বন, ঝড়, বৃষ্টি সবগুলো দিবসে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবে মানুষ খুশির মাঝে স্বস্তি খুঁজে পান বলে জানান, ট্রাফিক কনস্টেবল শংকর মজুমদার।

কনস্টেবল শংকরের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় তার দপ্তরের শীর্ষ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) কর্মকর্তা দেবব্রত করকেও। তিনিও মোটর সাইকেল নিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দেন।

ট্রাফিক কর্মকর্তা দেবব্রত বলেন, ‘দুটি ঈদে আমাদের ট্রাফিক সদস্যরা পালাক্রমে ডিউটি করে থাকেন। এক ঈদে কেউ ছুটিতে গেলে অন্য ঈদে তিনি ছুটিতে যান না। পাশাপাশি অন্যধর্মের যারা আছেন তারা প্রধান উৎসবে ভাগাভাগি করে ছুটি কাটিয়ে থাকেন। প্রয়োজন ছাড়া তাদেরও ছুটি দেওয়া হয় না।

তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের নিজের ব্যক্তিগত জীবনের শ্রম-ঘাম সবই পথের মধ্যে। সার্বক্ষণিক দাঁড়িয়ে তারা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। যানবাহনের হর্ন আর দৈনন্দিন জীবনের কোলাহল প্রতিটি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের চাকরি জীবনে প্রতিদিনকার স্বাভাবিক ঘটনা। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আর আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে আমরা বদ্ধপরিকর। শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখাই আমাদের প্রধান কাজ। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সাধ্য অনুযায়ী সেই কাজটি প্রতিটি ট্রাফিক পুলিশ সদস্য যথাযথ ভাবে করে যাচ্ছে।

বলা বাহুল্য, আধুনিক নাগরিক জীবনে যানবাহনের চাপের পাশাপাশি নিয়ম অনুযায়ী শহরের সড়কে চলাচলের জন্য ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। সারা বছরই  শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে নিজের অজান্তেই তাদের খুঁজে বেড়ান আপনি। সড়কে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি কখনও তারা যোগান সাহস, কখনও স্বস্তি। প্রিয় ট্রাফিক পুলিশদের এই ঈদে তাই বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দিনের ভোট রাতে হওয়ার কথা স্বীকার করলেন সাবেক সিইসি নূরুল হুদা
দিনের ভোট রাতে হওয়ার কথা স্বীকার করলেন সাবেক সিইসি নূরুল হুদা
বিদায়ী অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার
বিদায়ী অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার
আবারও কমলো এলপিজির দাম
আবারও কমলো এলপিজির দাম
‘কেক কাটতে আমার ভীষণ বোকা বোকা লাগে’   
‘কেক কাটতে আমার ভীষণ বোকা বোকা লাগে’   
সর্বাধিক পঠিত
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
ঢাকা সিটি কলেজক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি