X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ

যে মসজিদের গম্বুজে আছে বিশেষ ১০ সাহাবির নাম

হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
২৩ মে ২০২১, ১০:০০আপডেট : ২৩ মে ২০২১, ১০:০০

বাংলাদেশের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। এ নিয়েই বাংলা ট্রিবিউন-এর ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ’। আজ থাকছে চট্টগ্রামের বিখ্যাত চন্দনপুরা হামিদিয়া তাজ মসজিদ।

মসজিদের চারদিকে যেন মেলা বসেছে রঙের। সুউচ্চ মিনার, দেয়াল, দরজা-জানালা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই রং-বেরঙের কারুকাজ। কারুকাজ দেখেই অনুমান করা যায় এ মসজিদে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণ করা হয়েছে।

বলছিলাম বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অনন্য নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী চন্দনপুরা হামিদিয়া তাজ মসজিদের কথা। মসজিদ-ই-সিরাজউদ্দৌলা নামে পরিচিত হলেও বেশিরভাগ মানুষ ডাকে চন্দনপুরা মসজিদ নামে।

যে মসজিদের গম্বুজে আছে বিশেষ ১০ সাহাবির নাম নগরীর চকবাজার ওয়ার্ডের নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কে আছে মসজিদটি। ১৯৫০ সালে এটি নির্মাণ করেন আবু সৈয়দ দোভাষ। ১৮৭০ সালে সেখানে মাটি ও চুন সুরকির দেয়াল আর টিনের ছাদের একটি মসজিদ ছিল। ওটা প্রতিষ্ঠা করেন সৈয়দ দোভাষের পূর্বসুরী আব্দুল হামিদ মাস্টার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৮৭০ সালেও মাটির দেয়াল কারুকাজে ভরপুর ছিল। হামিদ মাস্টারের বংশধর ব্রিটিশ সরকারের ঠিকাদার আবু সৈয়দ দোভাষ ১৯৪৬ সালে এই মসজিদ সংস্কারে হাত দেন। সেই সময় কলকাতা থেকে কারিগর ও দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে উপকরণ এনে প্রায় ১৩ শতক জায়গার ওপর দোতলা মসজিদটি গড়ে তোলেন তিনি।

যে মসজিদের গম্বুজে আছে বিশেষ ১০ সাহাবির নাম মসজিদটির নান্দনিকতা বাড়াতে নির্মাণ করা হয় ১৫টি গম্বুজ। গম্বুজের চারপাশে লেখা হয় আহলে বায়তে রাসুলসহ আশারায়ে মোবাশশারা তথা দুনিয়ায় জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া ১০ সাহাবির নাম।

জনশ্রুতি আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গম্বুজ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১০ টন পিতল। এক সময় প্রকাণ্ড গম্বুজটি সূর্যালোকে ঝলমল করত। তবে এখন সেই ঝকমকে ভাব আর নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, কারিগরের অভাবে সূক্ষ্ম কাজগুলোর সংস্কার না হওয়ায় অনেক কিছু বিবর্ণ হয়ে গেছে। তবে এখনও আগের মতো মানুষের কাছে মসজিদটির আবেদন রয়েছে। প্রতিদিনই পর্যটকরা ভিড় করেন এ মসজিদ দেখতে।

যে মসজিদের গম্বুজে আছে বিশেষ ১০ সাহাবির নাম চারপাশের দেয়ালগুলো ভেন্টিলেশন সিস্টেমের। দেয়ালের ফাঁক গলে ঢুকছে আলো-বাতাস। প্রাকৃতিক আলোর ঝরনায় ভেতরটা ঝলমল করে। আছে বাতাসের কোমল পরশ। স্থানীয়রা জানান, আশপাশেও অনেক নতুন মসজিদ গড়ে উঠলেও এ মসজিদে মুসুল্লির সংখ্যা বাড়ছে। দিনে গড়ে ৮ থেকে ৯শ’ লোক এ মসজিদে নামাজ পড়েন। শুক্রবারে মুসুল্লির সংখ্যা হাজার তিনেক ছাড়িয়ে যায়।

 

/এফএ/
সম্পর্কিত
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিললো রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিললো ২৭ বস্তা টাকা
আগুনে বিলীন ২৫০ মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর পাঠকেন্দ্র
সর্বশেষ খবর
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা