X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১
চাঁদপুরে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন

পদ্মা-মেঘনা রক্ষায় ‘নড়েচড়ে বসেছে’ নদী রক্ষা কমিশন

ইব্রাহীম রনি, চাঁদপুর
১৩ মার্চ ২০২২, ০৮:০০আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২২, ১৫:৪০

চাঁদপুর জেলার নদী অঞ্চল থেকে গত কয়েক বছর ধরেই ‘অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের’ অভিযোগ রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানসহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের দাবি, এই বালু উত্তোলনের কারণেই শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইলিশ সম্পদসহ নদীর জীববৈচিত্র্য। সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। নদী ভাঙন ঠেকাতে বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর ও স্থানীয়রা বিরোধিতা করলেও বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে প্রভাবশালী ওই চক্রটি।

সর্বশেষ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভাতেও বালু উত্তোলনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সভায় জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে চাঁদপুরের নদী থেকে যে প্রক্রিয়ায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তা সঠিক হচ্ছে না। এতে নদীর ক্ষতি হচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্যেরও ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া আমাদের দিক থেকে বলা হয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় বালু উত্তোলনের ফলে সরকার কোনও রাজস্ব পাচ্ছে না। সেলিম খান নামে এক ব্যক্তি আদালতে মামলা করে ২০১৫ সাল থেকে বালু উত্তোলন করছেন। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে বালু উত্তোলন করছে, তা তারা বৈজ্ঞানিকভাবে তুলছেন না। তারা চাহিদাভিত্তিক বালু তুলছেন। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে সেখান থেকেই তারা বালু তুলছেন। নদীর গতিপথ আছে। এই গতিপথের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কোথায় পানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং সেসব জায়গায় যদি ডুবোচর থাকে এবং কতটুকু গভীরতায় যেতে হবে, সেটি একটি স্তরের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু যারা বালু উত্তোলন করছেন তারা সেটি মানছেন না। তারা যেভাবে বালু উত্তোলন করছেন তা নদীর জন্য ক্ষতিকর এবং ভাঙনের জন্য দায়ী।’

এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসককে একটি চিঠি দেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনুর রশিদ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চাঁদপুরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীতে ড্রেজারের মাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এই নদী থেকে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান ডুবোচর খননের নামে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে এই কাজটি করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। ফলে ইলিশের বৃহত্তম বিচরণ ক্ষেত্র ও অভয়াশ্রম (ষাটনল থেকে চর আলেকজান্ডার) নষ্টসহ জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, মেঘনা নদীতে অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনের ফলে প্রধান প্রজনন মৌসুমে চাঁদপুর অংশে ইলিশের প্রজনন ও বিচরণ সম্প্রতি মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে শত শত ড্রেজারের আঘাতে, নির্গত পোড়া মবিল ও তেলের কারণে মাছের প্রধান প্রাকৃতিক খাদ্য নদীর প্লাংটন আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এছাড়া বালু উত্তোলনে নদী দূষণসহ নদী গর্ভের গঠন প্রক্রিয়া বদলে যাওয়ার ফলে বাসস্থানের বাস্তুতন্ত্রও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের এই ধরনের পরিবর্তনের ফলে তাদের আবাসস্থল যেমন ধ্বংস হচ্ছে, তেমনি ইলিশসহ অন্যান্য মাছের খাদ্যের উৎস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাছের বিচরণ ও প্রজনন বদলে যাওয়াসহ ইলিশের উৎপাদন মেঘনা নদীতে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ইলিশ রক্ষা এবং আবাসস্থল নিরাপদ করতে প্রধান প্রজনন ও বিচরণ মৌসুমে মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন পুরোপুরি বন্ধসহ ড্রেজারগুলো স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’

ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের বিরোধিতা করেছেন বিআইডাব্লিউটিএ-র কর্মকর্তারাও।

বিভিন্ন সময়ই বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার জোরালো দাবি উঠলেও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে এবার নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা। তাই এবারই প্রথম চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী অংশে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ক্ষতিগ্রস্ত ও ইলিশের অভয়াশ্রম বিনষ্টসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এছাড়া বিভিন্ন সময় উচ্চ আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানদের করা রিট পিটিশন, লিভ টু আপিলসহ ৩টি মামলার আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় সম্পর্কেও আলোচনা আলোচনা হবে এ বৈঠকে।

বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয়দের মানববন্ধন (ফাইল ছবি)

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সচিব মনজুরুল কাদের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী ২১ মার্চ ঢাকায় এ সভাটি হবে।  

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর আগে কখনও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চাঁদপুরের নদী রক্ষা সম্পর্কে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে এ ধরনের সভা করেনি। তবে জেলা প্রশাসকের চিঠির প্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ও চাঁদপুর জেলার পদ্মা-মেঘনা নদীর অংশে নদীর নাব্য, ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষা, নদী ভাঙনরোধসহ নদীর সম্পদ রক্ষায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিবে নদী রক্ষা কমিশনসহ সংশ্লিষ্টরা।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চাঁদপুর জেলার পদ্মা-মেঘনা নদী অংশে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর নাব্যতা হ্রাস ও ইলিশের অভয়াশ্রম বিনষ্টের বিস্তারিত পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট রিট পিটিশন ৭৫৪৫/২০১৫ এর প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল দেয়া আদেশ হতে উদ্ভুত সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল মামলা ৮৭৫/২০১৬ এর ২০১৬ সালের ৩১ জুলাইয়ের আদেশ এবং সিভিল রিভিউ পিটিশন নং ৫৯৩/২০১৬ এর ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবরের আদেশের প্রেক্ষিতে করণীয় করণীয় নির্ধারণের নিমিত্ত আগামী ২১ মার্চ সকাল ১১টায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ওই সভায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসককে সশরীরে অংশগ্রহণের অনুমতি প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে। এছাড়া যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন প্রতিনিধি প্রেরণ করতে অনুরোধ হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালকের নিচে নয় এমন প্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নিচে নয় এমন প্রনিনিধি, পরিবেশ অধিদফতর ও মৎস্য অধিদফতরের পরিচালকের নিচে নয় এমন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের পরিচালককে সভায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সমন্বয় সভা, ইলিশ রক্ষায় টাস্কফোর্সের সভা এবং নদী রক্ষা কমিটির যে সভা হয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য এবং মতামতের রেজুলেশন ছিল। এরপর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডাব্লিউটিএ আমাদের চিঠি দেয়। তাদের চিঠিতে বলা হয়েছে, নদী থেকে যেভাবে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করা হচ্ছে; এতে নদীর কি ক্ষতি হচ্ছে, তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, নদী গবেষক ও ইলিশ গবেষক উল্লেখ করেছেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে নদী এবং ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে চিঠি দিয়েছিলাম। আমাদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এ সভা আহ্বান করেছে। নদীর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নদীতে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করা হচ্ছে। কিন্তু বালু উত্তোলনকারীদের একাধিক মামলার কারণেই আমরা নদীকে সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারছি না। আর এ মামলাগুলো সবই সম্ভবত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের করা। আরও কোনও মামলা আছে কি না সেটিও আমরা খোঁজ নিচ্ছি। তাই নদী রক্ষায় এসব বিষয়ে করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্যার অনুমতি দিলে আমি সভায় অংশগ্রহণ করবো।

পদ্মা-মেঘনা রক্ষায় ‘নড়েচড়ে বসেছে’ নদী রক্ষা কমিশন

এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ পদ্মা-মেঘনার ওই এলাকায় অনেক মাছের প্রজনন ক্ষেত্র। সুতরাং এটিকে অবহেলার কোন কারণ নেই। সে জন্যই আমরা দ্রুত মিটিং ডেকেছি।

তিনি বলেন, আদালত কি রায় দিয়েছে সেটি আমরা জানি না। আমরা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদেরকে মিটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। সবার মতামত এবং সকল কাগজপত্র দেখবো। আমাদের বিশেষজ্ঞ আছেন, প্রয়োজনে বাইরে থেকেও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। এরপর আমরা করণীয় সম্পর্কে বলতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষা কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে-নদী, নদীর পরিবেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং সবাই যেন নদীর ব্যবহার ঠিকমতো করতে পারে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যদি সমন্বয়ের দরকার হয় তা করা, সুপারিশ করা-এটি আমাদের রোল অব গার্ডিয়ান।

 

/ইউএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘রানা প্লাজার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ করতে হবে’
‘রানা প্লাজার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ করতে হবে’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি দুই টি-টোয়েন্টিতে অনিশ্চিত রিজওয়ান
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি দুই টি-টোয়েন্টিতে অনিশ্চিত রিজওয়ান
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বিএনপি নেতা বললেন ‘রিজভী ভাই আমাকে ফোন করেছিলেন’
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বিএনপি নেতা বললেন ‘রিজভী ভাই আমাকে ফোন করেছিলেন’
‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে সামাজিক কুসংস্কার’
‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে সামাজিক কুসংস্কার’
সর্বাধিক পঠিত
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী