X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেড় হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হারানোর শঙ্কা তাদের

কক্সবাজার প্রতিনিধি
১২ জুন ২০২২, ২১:২৮আপডেট : ১২ জুন ২০২২, ২১:২৮

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া সীমিত হলে স্থানীয় বাসিন্দা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ প্রায় তিন লাখ মানুষ জীবিকা হারাবে। হুমকির মুখে পড়বে পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারীদের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

রবিবার (১২ জুন) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মানবন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিত কিংবা রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে পর্যটন শিল্পে নিয়োজিত সাত-আটটি জাহাজ, ২০০-৩০০ বাস-মিনিবাস, ১০০ মাইক্রোবাস, ২০০ ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান, ৪০০ ট্যুরিস্ট গাইড এবং দ্বীপের ১২০টি হোটেল-কটেজ ও ৭০টি রেস্তোরাঁয় কর্মরতদের জীবন জীবিকা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকার সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা তৈরি করেছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনে ৯০০’র বেশি পর্যটক ভ্রমণে যেতে পারবেন না। একইসঙ্গে যেসব পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাবেন তাদের এক হাজার টাকা করে ভ্যাট দিতে হবে। এসব সিদ্ধান্ত পর্যটনের জন্য আত্মঘাতী। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ক্ষতি হবে। তাই নীতিমালা বাতিলের দাবি জানাই।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘সরকার ২০০৯ সালে পর্যটনকে শিল্প ঘোষণার পর থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে সম্পূর্ণ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পর্যটন শিল্প বিকশিত হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন বিকশিত হওয়ার আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠী সমুদ্র থেকে মাছ আহরণের পাশাপশি প্রবাল উত্তোলন, প্রবাল পাথরকে নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য উত্তোলন করে বিক্রি, মাছের অভয়ারণ্য ধ্বংস, শামুক-ঝিনুক সংগ্রহ করে বিক্রি, কাছিমের আবাসস্থল নষ্ট করাসহ বিভিন্ন উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।’

তারা বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে পর্যটন শিল্প বিকশিত হওয়ার পর ওই জনগোষ্ঠী জীবিকার সন্ধান পাওয়ায় জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসে। তারাই পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সর্বপ্রথম ২০১৬ ও ২০১৭ সালকে পর্যটনবর্ষ ঘোষণা করার ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা উৎসাহিত হয়ে বাসাবাড়ির এক-দুই রুম পরিবেশবান্ধব অতিথি শালা তৈরি করে পর্যটক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। দ্বীপকে ভালোবেসে বছরে পাঁচ মাস ব্যবসা করার ঝুঁকি নিয়ে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন উদ্যোক্তারা। পর্যটক যাওয়া সীমিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা।’

মানববন্ধনে কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, পর্যটনসেবী মুফিজুর রহমান, জাহাজ মালিক সমিতির সভাপতি তোফায়েল আহমদ, হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর ও টুয়াক সভাপতি আনোয়ার কামাল বক্তব্য রাখেন। কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

/এএম/
সম্পর্কিত
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়
আলেকজান্ডার মেঘনা পাড় যেন আরেক কক্সবাজার
মুজিবনগর-আমঝুপি নীলকুঠিতে দর্শনার্থীদের ভিড়
সর্বশেষ খবর
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন
রাজশাহীতে বইছে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
রাজশাহীতে বইছে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ