X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান উদ্ধারের ঘটনায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন

কক্সবাজার প্রতিনিধি
১৬ মার্চ ২০২৩, ১৫:২৭আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৫:২৭

একসঙ্গে ১৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার ও ইয়াবা বিক্রির এক কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক ও নুরুল আমিন প্রকাশ বাবুকে পাঁচ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড এবং আবুল কালামকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ে উদ্ধার করা ইয়াবা বিক্রির দুটি বস্তাভর্তি নগদ এক কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ে আসামি আবুল কালামের ছেলে শেখ আবদুল্লাহকে (১৯) বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান উদ্ধারের ঘটনায় এই রায় ঘোষণা করেন। একই আদালতের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে পিপি ফরিদুল আলম ফরিদ এবং আসামিদের পক্ষে ছৈয়দ আলম, শাহজালাল চৌধুরী নুরুল মোস্তফা মানিক ও আবদুল বারী মামলাটি পরিচালনা করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশের একটি টিম কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী-খুরুশকুল সংযোগ সেতুর উত্তরে ভারুয়াখালী খাল থেকে একটি কাঠের তৈরি নৌকা আটক করে। নৌকা থেকে জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক ও নুরুল আমিন প্রকাশ বাবুকে গ্রেফতার করা হয় এবং রোহিঙ্গা সৈয়দ আলম পালিয়ে যায়। তাদের দেখানো মতে নৌকাটি তল্লাশি করে ৪২ কোটি টাকা মূল্যের ১৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পরে আসামীদের স্বীকারোক্তি মতে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়া ছটার আসামি জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক ও তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ইয়াবা বিক্রির দুটি বস্তাভর্তি নগদ এক কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে আসামি আবুল কালাম এবং তার ছেলে শেখ আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় কক্সবাজারের ডিবি পুলিশের ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক, নুরুল আমিন প্রকাশ বাবু, আবুল কালাম ও শেখ আবদুল্লাহ এবং অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার এসআই এস এম শাকিল হাসান ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর ৩২ জনকে সাক্ষী করে আমলি আদালতে মামলাটির চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেন। আদালতে চার্জশিট জমার পর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে চার্জ গঠন করা হয়।

মামলায় ১৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, আসামিপক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্কসহ বিচারের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়। মামলাটি চার্জ গঠনের মাত্র ৫২ দিন পর বিচারের সব ধাপ সম্পন্ন করে রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

/এফআর/
সম্পর্কিত
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে হত্যা, ভাতিজার যাবজ্জীবন
ইয়াবাসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই গ্রেফতার
বিষ প্রয়োগে স্বামীকে হত্যার ১৮ বছর পর স্ত্রীর যাবজ্জীবন
সর্বশেষ খবর
‘আমার স্ত্রী শুধু অন্যের পরামর্শ শোনে’
‘আমার স্ত্রী শুধু অন্যের পরামর্শ শোনে’
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
লিভারপুলের নতুন কোচ স্লট!
লিভারপুলের নতুন কোচ স্লট!
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে: ওবায়দুল কাদের
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে: ওবায়দুল কাদের
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!