নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার প্রধান আসামি বাদশা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রবিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশের পাহারায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বাদশা (২৮) রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে। এর আগে শনিবার (২৪ জুন) ভোরে বাড়ি থেকে তাকে আটক করে মারধরের পর পুলিশে দেন স্থানীয় লোকজন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ব্যবসায়ী দুলাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা ছাড়াও থানায় বিভিন্ন ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে বাদশার বিরুদ্ধে। শনিবার স্থানীয়দের মারধরে আহত হওয়ার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল পুলিশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুলাল হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাদশা পলাতক ছিলেন। শনিবার ভোরে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসেন। এ সময় তাকে আটক করে মারধর করেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রেখে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১০ জুন সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রাম থেকে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুলাল ওই গ্রামের পরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে। ৯ জুন রাতের কোনও একসময় দুলালকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পূর্ববিরোধের জেরে বাদশা ও তার সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।