কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর ইব্রাহীম খলিল (৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইব্রাহীমের জেঠাতো ভাই আল আমিনকে বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাশতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আল আমিন পুলিশকে জানান, প্রবাসে থাকার সময়ে চাচা মাসুদ রানার সঙ্গে ঝগড়ার জেরে চাচাতো ভাই ইব্রাহীমকে হত্যা করেছেন। শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) আল আমিনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের এগারো গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ইব্রাহীমের লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার আল আমিন (২৫) ভবানীপুর ইউনিয়নের এগারো গ্রামের মো. রিপনের ছেলে। ইব্রাহীম খলিল বরুড়ার পাঠানপাড়া এলাকার মাসুদ রানার ছেলে। সম্পর্কে তারা চাচাতো-জেঠাতো ভাই।
আল আমিনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুবাইপ্রবাসী মাসুদ রানা তার ভাতিজা আল আমিনকে দুবাইয়ে চাকরি দিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে কাজ পছন্দ না হওয়ায় দেশে ফিরতে চান আল আমিন। এ নিয়ে চাচার সঙ্গে ঝগড়া হয়। সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন। ফেরার পর চাচাতো ভাই ইব্রাহীমকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখেন। পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
বরুড়া থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন আল আমিন। এ ঘটনায় ইব্রাহীমের মা মামলা করেছেন। শুক্রবার আল আমিনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে। যদি আরও কেউ ঘটনায় জড়িত থাকে, তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।’