চট্টগ্রামে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে চলছে জশনে জুলুস। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এ জুলুস শুরু হয়। জুলুস ঘিরে তাকবির, হামদ, নাতে রাসুল, গজল, জিকিরে মুখরিত হয়ে উঠেছে বন্দর নগরী।
এ বছর জুলুসে নেতৃত্ব দেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের হুজুর সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ)। এতে উপস্থিত ছিলেন, সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাব্বির শাহ ও শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ।
এ জুলুসের আয়োজক সংস্থা আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট এবং সার্বিক সহযোগিতা করে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। জশনে জুলুসে যোগ দিতে চট্টগ্রাম নগরী, উপজেলা এবং আশপাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে সকাল থেকে লোকজন একত্রিত হন।
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল থেকে চট্টগ্রামে প্রথম এ জশনে জুলুসের সূচনা হয়। প্রথম জুলুসটি গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রহ.)-এর দিকনির্দেশনায় নগরীর বলুয়ারদীঘি পাড় খানকাহ শরিফ থেকে আনজুমানের সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে এসে শেষ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ৫১তম জুলুস অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুস ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়া থেকে শুরু হয়। জুলুসটি বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ হয়ে অলিখাঁ মসজিদ রোড, আসকার দিঘী, কাজীর দেউরী (ডানে মোড়), আলমাস (বামে মোড়) ওয়াসা, জিইসি, দুই নম্বর গেট প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মুরাদপুর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে জমায়েত হয়।’