X
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
২৩ আষাঢ় ১৪৩২

১১ গ্রাহকের ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করলো ব্যাংকের গার্ড, অবশেষে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১৪আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১৭

১১ গ্রাহকের ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পূবালী ব্যাংকের চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার শিবেরহাট শাখার চাকরিচ্যুত সিনিয়র মেসেঞ্জার কাম গার্ড আবুল কালাম আজাদের (৩১) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী মো. আব্দুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামি আবুল কালাম আজাদ সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলাল মাস্টারের বারির হাজী মো. ইব্রাহীমের ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আবুল কালাম আজাদের নামে ২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ৪ মে পর্যন্ত পূবালী ব্যাংকের শিবেরহাট শাখার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ছিল। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে একই বছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকের ওই শাখার গ্রাহক রাশেদা বেগমের ব্যাংক হিসাব থেকে এক লাখ ২২ হাজার টাকা এবং সুরমা বেগম নামে আরেক গ্রাহকের ব্যাংক হিসেবে থেকে ১১ লাখ ১২ হাজার টাকা- তাদের স্বাক্ষরিত চেক নিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এ ছাড়া আরও ৯ গ্রাহকের টাকা ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ওই শাখার গ্রাহক কনক দাসের ব্যাংক হিসাব থেকে ৩৯ লাখ, মো. আবুল তাহেরের হিসাব থেকে ছয় লাখ, দেলোয়ারের হিসাব থেকে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার, নিলুফা খানের হিসাব থেকে তিন লাখ, আফরিন সুলতানা সুমির হিসাব থেকে দুই লাখ ৬০ হাজার, শাহজাহানের হিসাব থেকে তিন লাখ টাকা, সুজনের হিসাব থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার, আহমেদ উল্লাহর হিসাব থেকে এক লাখ ও মো. ইউনুসের ব্যাংক হিসাব থেকে চার লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

মামলার বাদী আবদুল মালেক জানান, টাকা আত্মসাতের এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সন্দ্বীপ থানায় একটি এজাহার দেওয়া হয়। তবে এজাহারটি দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় তা দুদকে পাঠানো হয়। অভিযোগটি প্রথমে অনুসন্ধান করেন দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ। তিনি অনুসন্ধান শেষে আবুল কালাম আজাদের মামলার সুপারিশ করেন।   

আবুল কালাম আজাদ ২০১২ সালে এইচএসসি পাস করে ২০১৩ সালে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে পূবালী ব্যাংকের সন্দ্বীপ শাখায় মেসেঞ্জার কাম গার্ড হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১৪ সালে তিনি নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালে তার চাকরি স্থায়ী হয়। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি তিনি সিনিয়র ম্যাসেঞ্জার কাম-গার্ড হিসেবে পদোন্নতি পান। তার দায়িত্ব ছিল বিভিন্ন ব্যাংক/পূবালী ব্যাংকের অন্যান্য কালেকশানের চেক সংগ্রহ করা, সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রার মেইনটেইন করা, প্রতিদিনের ভাউচার, হিসাব খোলার ফর্ম সেলাই ও সংরক্ষণ এবং ব্রাঞ্চ প্রধান নির্দেশিত অন্যান্য কাজ করা।

/এফআর/
সম্পর্কিত
দুদক সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে বিএনপির অবস্থান বিভ্রান্তিকর: কমিশন
এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক 
স্বামীর দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর বিলাসী জীবন
সর্বশেষ খবর
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই সংস্কার শেষ করতে হবে: আখতার হোসেন
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই সংস্কার শেষ করতে হবে: আখতার হোসেন
গণমাধ্যমকে হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের বিবৃতি
গণমাধ্যমকে হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের বিবৃতি
শেষ ম্যাচ কি খেলতে পারবেন শান্ত?
শেষ ম্যাচ কি খেলতে পারবেন শান্ত?
আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতা চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতা চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশে নিজের অনেক ভক্ত জানার পর যা বললেন কেট উইন্সলেট
বাংলাদেশে নিজের অনেক ভক্ত জানার পর যা বললেন কেট উইন্সলেট
প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি: শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স
প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি: শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স
‘আ.লীগের সদস্যরা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে না পারে’
‘আ.লীগের সদস্যরা যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে না পারে’
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে মন্ত্রণালয়
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য সংগ্রহ করেছে মন্ত্রণালয়
তিন নেতাকে অব্যাহতি দিলেন জিএম কাদের
তিন নেতাকে অব্যাহতি দিলেন জিএম কাদের