ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকার একটি খাল থেকে পলিথিনে মোড়ানো জীবিত অবস্থায় এক নবজাতককে উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে ওই কন্যা নবজাতককে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, চিকা বা ইঁদুরের কামড়ে আহত হওয়ায় শিশুটি এখনও শঙ্কা মুক্ত নয়।
নবজাতক উদ্ধার সম্পর্কে জেলা শহরের মেড্ডা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা লিমন আল স্বাধীন জানান, শহরের সেকশন খাল নামে পরিচিত একটি খালে রাত ১টার দিকে পলিথিনে মোড়ানো একটি ব্যাগে নবজাতকের কান্না শুনতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা এগিয়ে গিয়ে পলিথিনের ভেতর নবজাতক শিশুটিকে দেখতে পান। এ সময় শিশুটির গালের একপাশ চিকা বা ইঁদুরে খেয়ে ফেলেছে।
তিনি জানান, পরে পুলিশের সহযোগিতায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল আমিন জুয়েল, ছাত্রলীগ নেতা গালিব, সোহান, আরিফ ও বাবুসহ স্থানীয়রা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় নবজাতকটিকে খাল থেকে জীবিত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে কন্যা শিশুটি জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে।
এনআইসিইউতে দায়িত্বরত নার্স মুক্তা খাতুন ও তাসলিমা আক্তার, জানান, শিশুটি পলিথিনে থাকা অবস্থায় চিকা বা ইঁদুরে গালের একপাশ খেয়ে ফেলায় শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোনও নিষ্ঠুর ব্যক্তি নবজাতটিকে হয়তো এভাবে ফেলে রেখেছিল। শিশুটিকে বাঁচাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. সুমন ভূঁইয়া বলেন, নবজাতকটিকে বাঁচাতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। শিশু বিভাগের চিকিৎসক আক্তার হোসেনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, কে বা কারা শিশুটিকে এভাবে ফেলে রেখেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কারও পাপ কাজের শিকার হতে পারে এই নিষ্পাপ শিশুটি। পুরো বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পলিথিনে থাকা নবজাতকের বয়স এক দিনের বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা।