কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ জন নিহতের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেই ফেরার হয় বাসটির চালক।
শুক্রবার (২৪ মে) রাতে ওই চালককে গ্রেফতার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানিয়েছেন হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম।
আটক চালক তারেক হোসেন (৩৩) লক্ষ্মীপুর জেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাকে তার নিজ বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম জানান, মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রিলাক্স পরিবহনের পলাতক ড্রাইভার তারেক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় চালক তারেক হোসেনকে হাইওয়ে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এর আগে, গত ১৭ মে রাত অনুমান ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার আরামবাগ থেকে চট্টগ্রাম জেলার উদ্দেশে রওনা করে রিল্যাক্স পরিবহনের একটি বাস। সকাল ৬টায় কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোডে হোটেল শাহজাহানে বাসটি যাত্রাবিরতি করে। পরে চট্টগ্রাম জেলার উদ্দেশে পুনরায় রওনা করে। চৌদ্দগ্রামের বসন্তপুর নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার বাঁপাশে কাত হয়ে পড়ে গাড়িটি। এ সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা যান পাঁচ যাত্রী। সকাল ৭টার মধ্যে বাসটি চট্রগ্রামে পৌঁছানোর কথা ছিল। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় তাকে আসামি করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
যাত্রী, স্থানীয় বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশের সূত্র বলছে, বাসের বেপরোয়া গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাত্রীদের বারবার অনুরোধের পরেও চালক তার বেপরোয়া গতি অব্যাহত রেখেছে। যে কারণে খালি সড়কে ঝরেছে পাঁচ প্রাণ।
আরও পড়ুন: