বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট ৩ জারি করা হয়েছে। খোলা হয়েছে তিনটি কনট্রোল রুম। বন্ধ আছে বহির্নোঙর এবং জেটিতে থাকা সব জাহাজের লোড আনলোড কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আপাতত জেটিতে থাকা সব জাহাজের লোড আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। জেটির বড় জাহাজগুলোকে ডাবল ইঞ্জিন চালু রাখাসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ক্রেনসহ সব হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট প্যাক করা হচ্ছে; যাতে বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে বন্দরকে রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি চলমান আছে। আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা মেনে অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে।
বন্দর সূত্র জানায়, আবহাওয়া অফিস ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া ৫ নম্বর থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত বিপদ সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করে। তখন বহির্নোঙর ও জেটিতে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ দেখানো হলে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করে। তখন বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।