কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও নাশকতায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও প্রগতিশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (৩১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে শহরের ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে মিছিলটি বের করা হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
মিছিল শেষে সমাবেশে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সহায়তা বিষয়ক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অসীম কুমার বর্ধন এবং জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক কবি মনির হোসেন বক্তৃতা করেন।
নাসির মিয়া বলেন, ‘গত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বলেছিল ধর্মান্ধ গোষ্ঠী হিসেবে জামায়াত ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে। দীর্ঘদিন পর হলেও বর্তমান সরকার তাদের নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আমরা বলতে চাই, শুধু জামায়াত ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করলেই চলবে না। এই সংগঠনের যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।’
অসীম কুমার বর্ধন বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার আজ তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এটি সবার জন্য স্বস্তির খবর। এজন্য আমরা আনন্দ মিছিল বের করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারির জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া চলছে। যেকোনো মুহূর্তে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।