ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুসকে কেন্দ্র করে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত উপজেলার পৌর এলাকার কদমতলীর মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে উপজেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত কসবা উপজেলা চত্বর থেকে জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা করার প্রস্তুতি নেয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলার পুরকুইল হাবিবিয়া দরবার শরিফের পীর ছদরুদ্দিন আহমেদ। অপরদিকে উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানী নির্দেশে হেফাজতের অনুসারীরা জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেন। এতে উত্তেজনা ছড়ায়।
দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। উভয় পক্ষের নেতাকর্মী ও অনুসারীরা লাঠিসোঁটা, দেশি অস্ত্রসহ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বেলা ২টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে ২০ জন আহত হন। তারা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে হাবিবিয়া দরবার শরিফের পীর ছদরুদ্দিন আহমেদ ও হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানীর সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, ‘কসবায় দীর্ঘদিন ধরেই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত শোভাযাত্রা বের করে আসছিল। কিন্তু হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ভাষ্য, ইসলাম ধর্মের সাহাবিরা এটি এভাবে পালন করতেন না এবং এটি বেদায়াত। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’