চট্টগ্রামে মজিবুর রহমান নামে এক রেস্তোরাঁর কর্মচারীর নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখা থেকে নেওয়া হয় ১২ কোটি টাকা ঋণ। এই ঋণ পাইয়ে দিতে মজিবুর রহমান এবং ওয়াসিয়া আক্তার নামে এক নারীর নামে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে খোলা হয়েছে নীলিমা নীল অ্যাগ্রো নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানের নামে দেওয়া হয় ১২ কোটি টাকার ঋণ। তবে ঋণ নেওয়ার কথা মজিবুর জানতেন না দাবি করেছেন। ব্যাংকের নোটিশ পাঠানোর পর তিনি ঋণ নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। তার দাবি, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে ব্যাংক ঋণের মিথ্যা ফাঁদে ফাঁসিয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলা করেছেন মজিবুর। এতে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম, তার ব্যক্তিগত সহকারী এস এম নজরুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, শাহাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম ও মো. ওসমানকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মজিবুর রহমান ও ওয়াসিয়া আক্তারের নামে নীলিমা নীল অ্যাগ্রো নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির নামে ১২ কোটি টাকার ঋণ ইস্যু করা হয় ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের চকবাজার শাখায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণের সেই টাকার জন্য তাগাদা দিলে বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন মজিবুর রহমান। ২০২৩ সালে বিষয়টি জানিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ডাক বিভাগের মাধ্যমে দেওয়া নোটিশ গ্রহণ করেননি তিনি। কারণ ব্যাংকের সঙ্গে তার লেনদেন নেই। পরে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে নোটিশটি গ্রহণ করে ব্যাংককে লিখিতভাবে জানান, ঋণ নেননি তিনি।
মামলার বাদী মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার নামে ওই ব্যাংকে কোনও হিসাব নেই। ঋণ নেওয়া দূরের কথা। যেই নারীর নাম যুক্ত হিসাবে লেখা হয়েছে, তাকেও চিনি না। ওই নারীও ব্যাংক হিসাব ও ঋণের বিষয়ে কিছু জানেন না।’
জানতে চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঋণ নিয়ে অনেকে পরিশোধের সময় বলেন তারা ঋণ নেননি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হবে।’
বাদীর আইনজীবী মাহমুদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদালত মামলা নিয়ে বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’