চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিভিন্ন থানা এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম বলেন, ‘বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর বিভিন্ন থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৩০ জনকে গ্রেফতার করে। তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।’
গ্রেফতারদের মধ্যে কোতোয়ালি থানার অভিযানে জোবায়ের খান ওরফে জুরাত (২৭), হাজী সেলিমুল ইসলাম (৭০), জসিম উদ্দিন (২৯), জুয়েল ওরফে মামা জুয়েল (২৫), রুবেল ওরফে চাকমা রুবেল (৩৪), বাকলিয়া থানার অভিযানে হাসনাত জামান বাবু (৪২), ইফতার হোসেন আলভি (২০), হৃদয় (৯৯), চান্দাগাঁও থানার অভিযানে সাইফুল ইসলাম (৫৬), রমজান আলী (৫৫), নুর (৪৮), ইমরান হোসেন (৩২), বায়েজিদ বোস্তামী থানার অভিযানে এস এম ইউসূফ লিটন (৪৮), এনাম (৩৫), আব্দুল জলিল রিফাত (২৫), সদরঘাট থানার অভিযানে রিয়াদ হোসেন (২১), পাঁচলাইশ থানার অভিযানে শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ (২৭), মঞ্জুর আলম (৪০), হালিশহর থানার অভিযানে নাজিম উদ্দিন (৪২), পাহাড়তলী থানার অভিযানে মো. ফয়সাল আক্তার চৌধুরী, আকবরশাহ থানার অভিযানে শওকত মামুন (৫২), পতেঙ্গা মডেল থানার অভিযানে সোলাইমান (৩০), ডবলমুরিং মডেল থানার অভিযানে সেকান্দর মিয়া (৫০), আজিম উদ্দিন (২৩), সৌরভ চৌধুরী (২৮), খুলশী থানার অভিযানে ফারুক (২৯), আবুল কালাম (৫৮), ইপিজেড থানার অভিযানে আল আমিন (১৯), কর্ণফুলী থানার অভিযানে নাছির উদ্দিন নাহিদ (৪০) ও চকবাজার থানার অভিযানে মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (৩৪) সহ সর্বমোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।