বান্দরবানের লামা উপজেলায় একটি রিসোর্টে স্বামীর সহায়তায় স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মিরিঞ্জায় অবস্থিত মিরিঞ্জা ভ্যালি রিসোর্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
বুধবার (১২ মার্চ) লামা থানায় এই মামলা করা হয়। এরপর পুলিশ ওই নারীর স্বামী রুবেল (৩২) ও তার বন্ধু সাগরকে (৩০) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেফতারকৃত রুবেল মিরিঞ্জা ভ্যালি রিসোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের নৈশপ্রহরী। মঙ্গলবার রাতে মিরিঞ্জা ভ্যালি রিসোর্টে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মিরিঞ্জা ভ্যালির নৈশপ্রহরী রুবেল তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গত শনিবার ওই রিসোর্টে যান। মঙ্গলবার রাতে তার সহায়তায় পাঁচ বন্ধু স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি। বুধবার এ ঘটনায় চার জনকে এজাহারনামীয় ও দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ। মামলার অন্য আসামিরা হলো লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার দানু মিয়ার ছেলে জহির (৪০) ও লাইনঝিরি এলাকার কবিরের ছেলে মামুন (২৮)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে রুবেল ও তার বন্ধু সাগরকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাদের জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে তিন দিনের মঞ্জুর করেন বিচারক।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল করিম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মিরিঞ্জা ভ্যালি রিসোর্টে স্বামীর সহায়তায় স্ত্রীকে ছয় জন মিলে ধর্ষণের মামলার পর দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মিরিঞ্জা ভ্যালি রিসোর্টের মালিক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার রিসোর্ট রোজার আগে থেকে বন্ধ। এ সুযোগে রিসোর্টের নৈশপ্রহরী সেখানে আমার অজান্তে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।’
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’