নোয়াখালীর হাতিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের ওপর হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে হাতিয়া শহরের ধানসিঁড়ি রিসোর্টে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘সোমবার ইফতার পরবর্তী উপজেলার জাহাজমারা বাজারে এনসিপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ একটি পথসভা করেন। পথসভায় জুলাই অভ্যুত্থানের আর্কাইভ ভিডিও দেখানো হয়। হান্নান পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী দা, রামদা, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পথসভার দিকে একটি মিছিল নিয়ে আসে। তাদের প্রায় সবাই বিএনপির রানিং কমিটির নেতাকর্মী। ৩/৪ জন বহিষ্কৃত সদস্যও সেখানে ছিল। বহিষ্কৃত নেতাকর্মী বলে বিএনপি এই ন্যাকারজনক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না। বিএনপির এই বহিষ্কার, বহিষ্কার নাটক করে দায়সারা কর্মকাণ্ড জনগণ আর দেখতে চায় না।’
হাফিজুর রহমান উল্লেখ করেন, ‘৫ আগস্টের পর বিএনপির হাইকমান্ড হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করে তিন মাস পর আবারও তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়। সুতরাং আমরা এসব আইওয়াশ সাংগঠনিক বিচার দেখতে চাই না।’
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান রাকিব, জাহাজমারা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক প্রার্থী মোহাম্মদ নকিব উদ্দিন, পল্টন থানা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হিমেল ও হাতিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল্লাহিল নিশান এই ন্যাক্কারজনক হামলার নেতৃত্ব দেন বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি দাবি করেন। সন্ত্রাসী এ হামলায় এনসিপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে এবং ১৫ জন হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন। এমন সন্ত্রাসী কাণ্ড ঘটিয়ে নির্বাচনের দাবি আদায় করা যাবে না বলে উল্লেখ করে হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ হামলার সঙ্গে যুক্ত সব বিএনপির সন্ত্রাসী ক্যাডারদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সব প্রমাণ ও সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে বলেও।’
হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া মঙ্গলবার ইফতারের পর উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য ইউসুফ, তৌহিদুর রহমান, ইসমাইল ও হামিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।