চাঁদপুরের মতলব উত্তরে সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলো ছেংগারচর পৌরসভার আদুরভিটি গ্রামের সায়েদুল বাউলের ছেলে সাফায়েত (১৮), একই গ্রামের জহিরুল হক পাহাড়ের ছেলে রাব্বি (১৯) ও পার্শ্ববর্তী পাঁচগাছিয়া গ্রামের স্বপন প্রধানের ছেলে লামিম (১৮)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (৪ মে) রাত ৯টায় ওই কিশোরীকে (১৩) বাগবিতণ্ডার জেরে তার মা মারধর করে। একপর্যায়ে রাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির পেছনে চলে যায় ওই কিশোরী। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সাফায়েত (১৮), লামিম (১৮) ও রাব্বি (১৯) তাকে ধরে আধা কিলোমিটার দূরে জনৈক ফিরোজের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে সারা রাত ধর্ষণ করে তারা। পরে অভিযুক্তরা ওই কিশোরীকে একজনের বাড়িতে রেখে যায়।
মোবাইলে সংবাদ পেয়ে কিশোরীর চাচা তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে থানায় নিয়ে আসে। তার মৌখিক অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে মঙ্গলবার (৬ মে) ভোরে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানোর পরপরই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরে ভুক্তভোগীকে থানায় নিয়ে আসি। তার জবানবন্দি অনুযায়ী রাতেই অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে আটক করি। ভুক্তভোগীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।